অনুসন্ধানে সাইবার অপরাধ (সেশন-২)

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ডিজিটাল প্রযুক্তি - Digital Technology - সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে জানি, তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করি | NCTB BOOK
1.3k
Summary

এই সেশনে আমরা সাইবার নিরাপত্তা ও সাইবার অপরাধ বিষয়ে আলোচনা করব। সাইবার বুলিং একটি অপরাধ, যা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করার মাধ্যমে সংঘটিত হয়। এর মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং ব্যবহারের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

বাস্তব জীবনে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাউকে বুলিং করা উচিত নয়, এবং সতর্ক করা উচিত। সাইবার অপরাধ, বিশেষ করে ফেইক নিউজ, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংঘাত সৃষ্টি করছে। ফেইক নিউজ হল ভুল তথ্য উপস্থাপন, যা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ফেইক নিউজ সম্পর্কে:

  • মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল ঘটনা উপস্থাপন।
  • সঠিক উৎস যাচাই করে খবর শেয়ার করা।
  • বাংলাদেশে সাইবার বুলিং ও ফেইক নিউজ ছড়ানোর জন্য ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।

সাধারণভাবে, ডিজিটাল মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট বা তথ্য শেয়ার করা সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

আমরা আগের সেশনে তথ্যের নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টকারী ডিজিটাল মাধ্যমে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে জেনেছি। সাইবার অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক আলোচিত বিষয় এবং আমাদের দেশও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে বদলে যাচ্ছে মানুষের জীবনাচার, মনোবৃত্তি এবং চিন্তাজগৎ। যা মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন বৈচিত্র্যমূলক অপরাধ করার প্রবৃত্তি। এই রকম কিছু অপরাধ নিয়ে আমরা এই সেশনে জানব।

এবার আমরা সাইবার বুলিং সম্পর্কে জেনে নেই...

ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করা একটি অপরাধ। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম, গেমিং প্ল্যাটফর্ম এবং মোবাইল ফোন ব্যবহার করে করা হতে পারে। এক্ষেত্রে যাদেরকে টার্গেট করা হয় তাদেরকে অনলাইনে নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বিব্রত করা হয়। যেমন- সামাজিক মাধ্যমে কারো সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া বা বিব্রতকর অথবা অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা, মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্ষতিকর ও অশোভন মেসেজ দেওয়া বা হুমকি দেওয়া এবং অন্যের ছদ্মবেশ ধারণ করে তার পক্ষে আর একজনকে ম্যাসেজ পাঠানো। অর্থাৎ ডিজিটাল যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে কাউকে উত্ত্যক্ত করাই হচ্ছে সাইবার বুলিং।

বাস্তব জীবনেও বিভিন্ন জায়গায় আমরা নানাভাবে বুলিং এর শিকার হয়ে থাকি। এবার আমরা বাস্তব জীবনে ঘটা বুলিং এবং সাইবার বুলিং- এর ৫টি করে অভিজ্ঞতা লিখব।

বাস্তব জীবনে ঘটা বুলিং

সাইবার বুলিং

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাস্তব জীবনে এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে উভয় জায়গায় আমরা কাউকে বুলিং করব না। কাউকে বুলিং করতে দেখলে আমরা অবশ্যই তাকে সতর্ক করব। আমাদের দেশে এর জন্য কঠোর শাস্তির আইন রয়েছে।

এবার আমরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ঘটা কিছু সাইবার অপরাধ নিয়ে জানব...

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অত্যধিক ব্যবহারের এই যুগে, ফেইক নিউজ বিস্তার অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ঘটছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে ঘটা ফেইক নিউজের ফলে পৃথিবীব্যাপী অনেক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংঘাতের জন্ম দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে মানুষ প্রতিদিন অগণিত খবর পড়ছে, যেগুলোর মধ্যে হয়তো বেশ কিছু মিথ্যা সংবাদও থাকে। কেউ কেউ তাদের রাজনৈতিক, আদর্শিক ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ফেইক নিউজ ছড়িয়ে থাকে আবার কেউ শুধু মজা পারার জন্য এটি ছড়ায়।

এবার আমরা কোন ধরনের নিউজগুলোকে ফেইক নিউজ বলব তা জেনে নেই...

 

 

মিথ্যা বাক্য ব্যবহার করে কোনো ভুল ঘটনা অশুদ্ধ তথ্যের মাধ্যমে উপস্থাপনকে ফেইক নিউজ বলা যেতে পারে। এই ফেইক নিউজগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্ম হতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

 

'চিলে কান নিয়ে গেছে' এমন সংবাদে চিলের পিছে না দৌঁড়ে সবার আগে কানে হাত দিয়ে দেখা উচিত। ঠিক একইভাবে অনলাইনে কোনো পোস্ট বা খবর দেখলে তা যাচাই করে বিশ্বাস করা উচিত। সাধারণত কোনো  ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নকল অর্থাৎ ছদ্ম নাম ধারণ করে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা খবর বা গুজব রটিয়ে দেওয়া হয়। আমরা ডিজিটাল মাধ্যমে কোনো খবর দেখার সাথে সাথেই তা বিশ্বাস করব না। তার সঠিক উৎস যাচাই না করে এগুলো শেয়ার করা থেকে বিরত থাকব। লাইক করা কিংবা কমেন্ট করার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকব।

এবার আমরা আমাদের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে জানা পাঁচটি ফেইক নিউজ লেখব এবং এটি কেন ফেইক নিউজ তার কারণ অনুসন্ধান করব। শ্রেণির সবার সাথে এগুলো শেয়ার করব।

ফেইক নিউজ

নিউজটি ফেইক হবার কারণ

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

বাংলাদেশে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ মোতাবেক সাইবার বুলিং এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ফেইক নিউজ ছড়ানোর জন্য অপরাধীর সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে অথবা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে অথবা কারাদণ্ড ও জরিমানা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

 

জেনে রাখি:

ডিজিটাল মাধ্যমে মানহানিকর বা বিভ্রান্তিমূলক কোনো কিছু পোস্ট করলে ছবি বা ভিডিও আপলোড করলে, কারো নামে একাউন্ট অর্থাৎ ফেক আইডি খুলে বিভ্রান্তমূলক পোস্ট দিলে, অসত্য কোনো স্ট্যাটাস দিলে এবং তা শেয়ার বা লাইক দিলে তা সাইবার অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

Content added || updated By
Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...